পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে রাজধানীর হাতিরঝিলে লেজার শোর আয়োজন করা হবে। জেলায় জেলায় উৎসব করে উদ্যাপন করা হবে।
পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। শুক্রবার (৩ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদযাপনে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়। বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরায় হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষ্যে ওই এলাকায় ১০ লাখ মানুষের জমায়েত করার পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ।
পদ্মা সেতুর মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সারা দেশে একযোগে দেখানোর ব্যবস্থা করতে ১ জুন সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাতিরঝিলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানোর পাশাপাশি লেজার শোর আয়োজন করা হবে। সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৯ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠান পালন করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী দিনগুলোর অনুষ্ঠান হাতিরঝিল ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা অন্য কোনো সুবিধাজনক জায়গায় করা হতে পারে। অনুষ্ঠানমালায় পদ্মা সেতুকেন্দ্রিক ভিডিও দেখানোসহ বিভিন্ন আয়োজন থাকবে।
পাশাপাশি অন্য সাত জেলায়ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানোর জন্য বলা হয়েছে। একই দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, কয়েকটি জেলায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হলেও ৫৬টি জেলায় এক দিনের জন্য অনুষ্ঠান পালন করতে বলা হয়েছে। তবে কোনো জেলা চাইলে একাধিক দিনও অনুষ্ঠান করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।